যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে
রবীন্দ্রসঙ্গীত
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে,
আমি বাইব না,আমি বাইব না,
মোর খেয়াতরী এই ঘাটে, গো
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে,
চুকিয়ে দেব বেচা কেনা,
মিটিয়ে দেব গো, মিটিয়ে দেব লেনা দেনা,
বন্ধ হবে আনাগোনা এই হাটে–
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে।
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে,
যখন জমবে ধুলা তানপুরাটার তারগুলায়,
কাঁটালতা,কাঁটালতা
উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়, আহা,
জমবে ধুলা তানপুরাটার তারগুলায়,
ফুলের বাগান ঘন ঘাসের পরবে সজ্জা বনবাসের,
শ্যাওলা এসে ঘিরবে দিঘির ধারগুলায়–
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে।
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে,
তখন এমনি করেই বাজবে বাঁশি এই নাটে,
কাটবে দিন কাটবে, কাটবে গো
দিন আজও যেমন দিন কাটে, আহা,
এমনি করেই বাজবে বাঁশি এই নাটে
ঘাটে ঘাটে খেয়ার তরী এমনি
এমনি সে দিন উঠবে ভরি–
চরবে গোরু খেলবে রাখাল ওই মাঠে।
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে।
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে
তখন কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই আমি।
সকল খেলায় সকল খেলায়
করবে খেলা এই আমি– আহা,
কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই আমি
নতুন নামে ডাকবে মোরে, বাঁধবে
বাঁধবে নতুন বাহু ডোরে,
আসব যাব চিরদিনের সেই আমি।
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে।
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে