ছেলেঃ হ্যালো!
মেয়েঃ কেমন আছো ?
ছেলেঃ হুম, বেশ ভালোই আছি।
তুমি কেমন আছো?
মেয়েঃ চেয়েছিলাম বিলাসিতায় ,
নিজের জীবনটাকে কাটাবো।
খুব ভালো থাকতে পারবো,
তাই তোমার ভালোবাসা,
দেখেও দেখিনি বলে আজ এতটাই ভালো আছি,
যার তরে নির্মম অত্যাচার সইতে হচ্ছে।
ছেলেঃ কি হয়েছে এভাবে কেন বলছো।
আমিতো চেয়েছিলাম, তুমি সবসময় ভালো থাকো,
তাই নিজের বুকের ভেতর জমানো ভালোবাসাটুকু ,
মাটি চাপা দিয়ে, তোমার চলে যাওয়াটা মেনে
মেয়েঃ আমি জানি ,তুমি সবসময় আমার ভালো
থাকাটাই চেয়েছ।
কিন্তু তোমার অভিশাপ আমাকে সুখী হতে দেয়নি।
ছেলেঃ না। বিশ্বাস করো,
আমি তোমাকে কখনো অভিশাপ দেইনি।
সবসময় মন থেকে দোয়া করেছি,
তুমি যেখানেই থাকো ,যার কাছেই থাকো।
ভালো থাকো।
মেয়েঃ আমি জানি ,তুমি আমাকে কখনো
অভিশাপ দিতে পারোনা।
কিন্তু, তোমার অবুঝ মনে যে আঘাত আমি দিয়েছি,
তার প্রতিটি আঘাত আমার জীবনকে
নরকে হস্থান্তর করে দিচ্ছে।
আজ বুঝতে পেরেছি, কারো মনে আঘাত করে,
কেউ কখনো প্রকৃত অর্থে সুখী হতে পারেনা।
ছেলেঃ ভেবনা, সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রাখো ,
সব ঠিক হয়ে যাবে।
মেয়েঃ আমি কেনো যে তোমার ভালোবাসার
গভীরতাটা বুঝতে চাইনি।
কি করলাম আমি?
সবকিছুর জন্য আমি দায়ি।
ছেলেঃ এই পৃথিবীতে সুখের চেয়ে বেশি রাজত্ব
কষ্টের।
কারণ, সুখটা ত সবার চোখে পড়ে,
কিন্তু, কষ্ট দেখার কেউ থাকেনা।
কেউ দেখেও দেখেনা।
কেউ চায়না কারো কষ্টের ভাগ নিতে।
যে মানুষটা সারাদিন হেসে খেলে যেভাবে সেভাবে
দিন কাটায়।
সেই মানুষটা রাতের আধারের অপেক্ষা ,
আর বৃষ্টি আসার অপেক্ষায় পথ চেয়ে থাকে। কান্না
করবে বলে।
ছেলেঃ আচ্ছা বাদ দাও এসব। তোমার কথা বলো।
মা কেমন আছে?
আর তুমি কেমন আছো?
ছেলেঃ নিজে ভালো থাকাটা ভুলে গেছি।
হুম, মা ভালো আছে,
আর মায়ের ভালো থাকাটাকে নিজের মনে করে,
আজও বেচে আছি, এই বুকে পাহাড় সমো ব্যথা
মেয়েঃ তোমার জীবনের পথ চলার নতুন সংগী
,সে কেমন আছে?
ছেলেঃ হুম ভালো আছে।
আমাকে তিলে তিলে শেষ করে, সেও ভালো আছে।
মেয়েঃ মানে? কি বলছ এসব?
ছেলেঃ আমার জীবনের পথ চলার সংগী
,সে হলো আমার ভেতরে থাকা কষ্ট।
যে কিনা প্রতিনিয়ত আমাকে শোষণ করে যাচ্ছে।
মেয়েঃ এইসব কিছুর জন্য আমি দায়ি।
নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারব না ।
আমার বিবেক আমাকে দংশন করে যাচ্ছে।
আচ্ছা আমি এখন আসি ভালো লাগছেনা কিছু,
কষ্ট বেড়ে যাচ্ছে। ভালো থেকো।
ছেলেঃ তুমিও ভালো থেকো। তার জন্য দোয়া
রইল সবসময়।
মেয়েঃ বায়!
ছেলেঃ বায়!