সময় ঘোড়া যখন টিংটং সকাল ৮ টা,
তখনই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া,
গাড়ি ধরার ঝক্কিঝামেলা,
জ্যামের ক্যাচক্যাচানি আর
চারদিকে প্যাঁপ্যাঁ আওয়াজ
ঠেলে হন্তদন্ত হয়ে অফিস পৌঁছাতে হয়
ঘড়ি ধরে দশটা বাজার আগেই।
কিবোর্ডের ঠকঠক আর কলমের খসখস
আওয়াজের মাঝে কতো কিছুই তো
খেয়াল রাখতে হয়।
কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে চোখ তুলতে তুলতে
অনেক রাত। জীবনে সন্ধ্যাটা বোধহয়
আর উইক ডে' তে এলো না।
ডেবিট-ক্রেডিট হিসাবের মধ্যেই
সকাল আর রাতের দেখা।
রাত করে বাড়ি ফেরা,
পরিশ্রান্ত শরীরে চেষ্টা করা
পরিবার পরিজনদের সময় দেয়া।
তবুও হয়ে উঠে না।
তবে, মানুষকে সেবা দেয়া আর
অর্থনীতির চাকা চালু রাখতে কাজ করে যাওয়া।
এটাই অহংকারের মালা।
আমানত-ঋণ, আমদানি -রপ্তানী আর আয়-ব্যয়
লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এগুচ্ছে কিনা
সতর্ক থাকতে হয় সবসময়।
এরিমাঝে ক্লাসিফায়েড ঋণের
ঘোরটোপে পড়ে বিভিন্ন তদন্ত সংস্হাকে
মোকাবেলা করতে গিয়ে নিজেকে
জীবন-মৃত্যুর সন্নিকটে নিয়ে যাওয়া।
কর্মজীবনের ডেবিট-ক্রেডিট মেলাতে মেলাতে
আর নিজের জীবনের
ডেবিট-ক্রেডিট মেলানো হয় না।
==================================
মৃত্যু খুব স্বাভাবিক ঘটনা।
কিন্তু, এরই মাঝে কিছু মৃত্যু
মানুষকে ভাবিয়ে তোলে।
হুহু করে কেঁদে ওঠে হৃদয়।
এর একটি হলো গত ২৭শে আগষ্ট,
২০১৯ ইং প্রাইম ব্যাংক উত্তরা শাখার
গহর জাহানের মৃত্যুর ঘটনা।
অফিসে কাজের টেবিলে বসেই
তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া তাঁর মৃত্যুটি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে
ব্যাংকিং সমাজে নেমে আসে শোকের ছায়া।
গ্রাহককে সেবা দিতে দিতে
মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া।
চোখের জল কি ধরে রাখা যায়!
=====================
এই মৃত্যুতে আমরা সকলে মর্মাহত।
গহর জাহান সহ যারা আমাদের ছেড়ে
চলে গেছেন জীবনের অন্য পাড়ে
তাঁদেরকে স্মরণ করছি আমরা।
========================
তাঁদের জন্য আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা।
আসুন আমরা তাঁদের জন্য
কিছুটা সময় নীরবতা পালন করি।